ককসবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়ক লবণাক্ত পানিতে পিচ্ছিল হয়ে পড়ছে দিন দিন।যার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে বলে পথচারি ও সচেতন মহলের অভিযোগ।
সরেজমিনে জানা যায়, চলতি লবণ উৎপাদন মৌসুম শুরু হ্ওয়ার সাথে সাথে দেশের লবণ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্রস্থল দক্ষিণ চট্রগ্রাম তথা কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়ক খোলা লবণ বাহি গাড়ি থেকে পড়া লবণাক্ত পানিতে চরম পিচ্ছিল হয়ে পড়ছে । যার কারণে যানবাহন চালকরা স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে একের পর এক দুর্ঘটরার শিকার হচ্ছে । সাম্প্রতিক সময়ে দূর্ঘটনার মাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে বিভিন্ন তথ্যে উঠে এসেছে ।সরকার অব্যাহত দুর্ঘটনা রোধে নানামুখি পদক্ষেপ নিল্ওে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রকৃত কারণ বারবার আড়ালে থেকে যাচ্ছে । যার ফলে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে চট্রগ্রাম বিভাগে । বিশেষ করে দেশের লবণ উৎপাদনের প্রধান এলাকা দক্ষিণ চট্রগ্রাম তথা কক্সবাজার জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন লবণ উৎপাদিত এলাকা,কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী, ঈদগাঁওয়ের মাছুয়াখলি,চৌফলদন্ডী,পোকখালী,দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লবণ শিল্প নগরী কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর, চকরিয়ার খুটাখালী, মেধা কচ্ছপিয়া, ডুলহাজারা, বদরখালী,পেকুয়া,বনিয়ারছরা উপসড়ক হয়ে প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হাজারো খোলা লবণ বাহি গাড়ি দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক এলাকায় সড়কে নিষিদ্ধ খোলা লবণ পরিবহণ করে চলছে । এসব গাড়ি থেকে গলে পড়া পানিতে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়ক ্ও উপসড়ক গুলো চরম পিচ্ছিল হয়ে পড়ে । যার কারণে অন্যান্য গাড়ির চালকরা স্বাভাবিক গতিতে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত । কক্সবাজারের অভ্যন্তরিণ চালকরা লবণের কারণে সড়কে সৃষ্ট সমস্যাটি অবগত থাকায় তুলনামুলক কম দুর্ঘটনার শিকার হয় । তবে উত্তরাঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু কক্সবাজারগামী পর্যটকরা সড়কের অবস্থা না জানায় একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে জীবন দিচ্ছে । পঙ্গুত্ব বরণ করছে হাজারো জনগণ ।আর এসব লবণবাহী গাড়িকে পুজি করে উপরুক্ত এলাকাগুলোতে গড়ে উঠেছে শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠন । তারা প্রতি গাড়ি থেকে নির্দিষ্ট হারে চাদাঁ আদায় করছে। অপরদিকে অতি মোনাফালোভি এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ লবণ চাষিদের চড়া মুল্যের প্রলোভনে ফেলে মাঠ থেকেই পানিযুক্ত লবণ কিনে অপরিশোধিত অবস্থায় মহাসড়ক দিয়ে নিয়ে য্ওায়ায় লবণ পানিতে এ দুর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে চালক ্ও সচেতন মহলের অভিযোগ । কতৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এ পরিস্থিতি চরম আকার করেছে
। এ বিষয়ে জানতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লবণ শিল্প এলাকা ইসলামপুর লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন মহাসড়কে খোলা লবণ পরিবহন নিষিদ্ধ হলে ও লোভী কিছু ব্যবসায়ী মাঠ থেকে পানিযুক্ত কাঁচা লবণ ক্রয় করে সড়ক- মহাসড়ক দিয়ে বহনের কারণে গলে পড়া লবণাক্ত পানিতে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সড়কের স্থায়িত্ব নষ্ট হচ্ছে।বিশেষ করে গ্রাম্য সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত বোঝাই লবণবাহি গাড়ি চলাচলের কারণে ইতিমধ্যে সড়ক গুলো চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগে করা হলে জরুরী ভিক্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান । জেলা প্রশাসক মো:আলী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রয়োজনে ট্রাস্কফোর্স গঠন করা হবে এ নিয়ে ইতিমধে কাজ শুরু হয়েছে জানান ।
পাঠকের মতামত: